মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : জলমহাল দখল ও লুটপাটের অভিযোগে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিএমএ মুক্তাদির রাজুর পদ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৩ই মার্চ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পদস্থগিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের পরিপেক্ষিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক জিএমএ মুক্তাদীর রাজুর দলীয় পদ স্থগিত করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের ধলী বিল (হুরু হাওর) জলমহালের সেচে পানি কমিয়ে মাছ লুন্ঠনের অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার জেলার স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি জিএমএ মুক্তাদির রাজুর বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুললে সংঘর্ষ হয়। কনকপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমানের ভোগদখলে থাকা জলমহাল থেকে প্রায় আট-দশ লক্ষ টাকার লুটে নেয়ার অভিযোগ করেন উত্তরাধিকারী লন্ডন প্রবাসী তৌহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ধলী বিল জলমহাল নিয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে (স্বত্বঃ মামলা নং-১০৬/২০০৩) চলমান রয়েছে। আদালত আদেশে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা বাদীর পক্ষে ভোগদখলের জন্য ইনজাংশন জারি হয়েছে। উচ্চ আদালতে সিভিল রিভিশনে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ এবং চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জিএমএ মুক্তাদীর রাজু তার লোকজনকে দিয়ে জোরপূর্বক জলমহালটি দখল করে নেয়। গত ১০ই মার্চ রাত ১০টার দিকে স্থানীয় ছাত্র-জনতা অবৈধভাবে সেচ ও মৎস্য নিধনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।এই ঘটনার দুইদিন আগ থেকেই বিলে চারটি শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচে পানি কমিয়ে আমাদের আট-দশ লক্ষ টাকার দেশীয় হাওরের মাছ লুটে নেয়। আমি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি, তারা বলেছেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এবিষয়ে জিএমএ মুক্তাদীর রাজু বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশ দেওয়ার আগে দলের কর্মী হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকতো। যে ঘটনা নিয়ে একটি নিউজ হয়েছে, তার সত্যতা পাইনি। ঘটনাটি দুটি ইউনিয়নের। আমার নিজ ইউনিয়ন কাগাবলার নড়িয়া ও কনকপুরের ভাদগাও মধ্যে এই জলমহাল নিয়ে প্রতিবছর মারামারি হয়। এবারও একইভাবে হয়েছে। আমি এখানে কাউকে বলিনি দখল করতে, কাউকে মারতে। এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।