মোঃ আব্দুর রব, সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান : সিলেটের বিশ্বনাথে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিককে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। তার নাম মোজাহিদ আলী (৩০)। সে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা গ্রামের নজিবুল্লাহ’র ছেলে।
সোমবার (৫ই মে) দুপুরে তাকে পাঠানো হয় সিলেট আদালতে। এর আগের দিন রবিবার রাত ৩টায় ভিকটিমের পিতার দায়ের কৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে প্রকাশ পায়, ঘটনার প্রায় মাসখানেক পূর্বে সিএনজি চালক মোজাহিদের সাথে পরিচয় ঘটে দৌলতপুর ইউনিয়নের মিয়াজানের গাঁও গ্রামের ১৭ বছর বয়সি ভিকটিম কিশোরীর।
একই ইউনিয়নের মীরেরগাঁও চানপুর গ্রামে ভিকটিমের নানা বাড়িতে যাওয়া-আসার সুবাধে পথিমধ্যে তার সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।
এক মাস মন দেয়া-নেয়ার পর গেল ৩রা মে ভিকটিমকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে আনেন প্রেমিক মোজাহিদ।
কথামতো বিশ্বনাথ পৌরশহরের বাসিয়া ব্রীজে আসলে, নিজ সিএনজিতে তুলে নেন। সারাদিন ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় নিজ বাড়ীর দক্ষিণের একটি কক্ষে নিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেন তাকে। পরদিন ভুক্তভোগীর বাড়ির সামনের রাস্তায় তাকে রেখে যান তিনি।
এঘটনায় ওইদিনই ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা (নাম্বার-৩) দিলে রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এবিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক চৌধুরী প্রতিবেদকে জানাই ‘ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি মুজাহিদকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।