নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্যখাতে এক যুগান্তকারী উদ্যোগের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রস্তাবিত ১ হাজার শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের স্থান পরিদর্শনে আজ (০৭ মে) বুধবার বিকেল ৫ টায় নীলফামারী জেলার দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন সরকারি খাসজমি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অধি শাখার যুগ্ম সচিব ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
সরকারি খাসভুক্ত প্রায় ২৫ একর জমির উপযোগিতা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন তিনি। এই গুরুত্বপূর্ণ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, জেলা সিভিল সার্জন ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা চান রংপুর বিভাগের মানুষ যেন সহজেই মানসম্মত চিকিৎসা সুবিধা পায়। এজন্য ঢাকামুখী চিকিৎসা নির্ভরতা কমাতে রংপুর বিভাগেই এই হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছি, খুব শীঘ্রই চূড়ান্ত স্থান নির্ধারণ করে হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে।”
স্থানীয়দের মতে, দারোয়ানী এলাকায় হাসপাতালটি নির্মাণ হলে এটি উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি স্বাস্থ্যসেবার মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে। হাসপাতালটি শুধু নীলফামারী নয়, আশেপাশের জেলাগুলোর মানুষদের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করবে।
চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় নির্মিতব্য এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে আন্তর্জাতিক মানের। এতে থাকবে উচ্চতর চিকিৎসাসেবা, আধুনিক যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক এবং নার্সিং সুবিধা।
উল্লেখ্য, দেশের উত্তরাঞ্চলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যতীত এখনও পর্যন্ত এমন বৃহৎ পরিসরের সরকারি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গৃহীত হয়নি। ফলে এই হাসপাতাল শুধু একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়, এটি হয়ে উঠবে এই অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণের প্রতীক।
এই হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে রংপুর বিভাগে স্বাস্থ্যখাতে নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।