লিটন সরকার, নীলফামারী:
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যা, বিগত ১৬ বছরে গুম-খুন, অর্থ পাচারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্রুত বিচার এবং রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৫ দফা দাবি পেশ করেছে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠানো স্মারকলিপিতে বলা হয়, “বিগত ১৬ বছরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, লুটপাট, অর্থপাচার এবং গণহত্যার মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।” আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুর দুই ঘটিকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এই অপরাধের জন্য দায়ীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়,
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮২৬ জন শহীদ এবং ১১ হাজার ৩০৬ জন আহতের সরকারি তথ্য রয়েছে।
তবে আন্দোলনকারী নেতাদের দাবি অনুযায়ী প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪-এ পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়েছে বলেও বলা হয় স্মারকলিপিতে।
গণঅধিকার পরিষদের অভিযোগ,
ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও অডিও রেকর্ডের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তার সমর্থকরা গুপ্ত হামলা, ঝটিকা মিছিল এবং নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে।
৫ দফা দাবি গুলো হচ্ছে— ১. জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিগত ১৬ বছরের আন্দোলনে আহতদের তালিকা প্রণয়ন, ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
২. গণহত্যাকারীদের বিচার, পলাতক শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত ও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি।
৩. লুটপাট-অর্থ পাচারের বিচার, অর্থ পাচার, লুটপাটে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করা।
৪. রাষ্ট্র সংস্কার, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
৫. গুম-খুনের বিচার, ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালের ভুয়া নির্বাচনের সাথে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা।
উদ্বেগ ও শঙ্কায় গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, “গণহত্যাকারীদের দ্রুত বিচার না হওয়ায় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।” ইতিমধ্যে ৫৭২ জন আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছে, যা ন্যায়বিচারের প্রতি প্রশ্ন তুলছে।” মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত না হলে ভবিষ্যতে এমন বর্বরতার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা রয়েছে।”