সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোঃ
সিলেটের সদর উপজেলার পীরের বাজার এলাকার কেওয়া আটগাঁও গ্রামের আব্দুস শহিদ এর পুত্র মোঃ আবুল কালাম দীর্ঘ দিন বাহরাইন প্রবাসে থাকিয়া দেশে আসেন |
বিগত ১৮ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালে পারিবারিক ভাবে একই জেলার পার্শ্ববর্তী জৈন্তা উপজেলার চিকনা গুল এলাকার পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে রুণা বেগম বিবাহ করেন |
বেশ কয়েক দিন দেশে থাকিয়া গেল বছর ৩১ জুলাই আবার বাহরাইন প্রবাসে চলে যান |
তার পারিবারে মা এবং ছোট এক ভাই, ও একমাত্র স্ত্রী রুনা বেগম এই ছোট সংসারটি এভাবে চলে গেল বেশ কয়েক দিন |
১৫ দিন ও ২০ দিন অন্তর অন্তর ফিত্রালয় চলে যেতেন রুনা বেগম এনিয়ে বাহরাইন প্রবাসী স্বামী মোঃ আবুল কালাম স্ত্রী রুনা বেগম এর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন |
প্রবাসী আবুল কালাম তার স্থীকে সন্দেহ করেন, একপর্যায়ে
রুনা বেগম তার খালাতো ভাই “সজিব” এর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়েছে এমন কিছু প্রমাণ বাহরাইন প্রবাসী মোঃ আবুল কালাম পাওয়ার পর থেকে স্ত্রী রুনা বেগমের সহিত মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে ঝগড়াঝাঁটি হতো |
২৪ এপ্রিল রুনা বেগম পিত্রালয়ে যাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনের বাহরাইন প্রবাসী স্বামী আবুল কালাম কে বলিলে তাদের দু’জনের মধ্যে মোবাইল ফোনে ঝগড়াঝাঁটির হয় | এতে রাতে খাবার না খেয়ে রুনা বেগম তার রুমে ঘুমের বাহানা করে শুয়ে থাকেন |
রাতের বাহরাইন প্রবাসী মোঃ আবুল কালাম এর ছোট ভাই মিফতার হোসেন দোকানি ব্যবসা শেষ ঘরে ফিরে ভাবি রুনা বেগম কে প্রতিদিনের মতন ভাত দিতে বলেন, কিন্তু রুনা বেগম নিছুপ থাকায় প্রবাসী আবুল কালাম এর মাতা জয়তুরী বেগম তার ছেলে মিফতার হোসেন বলেন ভাত রান্না আছে তুমি খেয়ে নেও ,
মিফতার হোসেন ভাত খাওয়ার শেষ মুহূর্তে হঠাৎ রুনা বেগম ঘরের বাথরুমে ডুকে দরজা বন্ধ করার দৃশ্য দেখে মা কে বলেন এবং তাড়াতাড়ি হাত দুয়ে ঘরে বার লক করার পর তার ভাবি রুনা বেগম কোন উওর দেয়নি ভয়ে মিফতার হোসেন সুর চিৎকার করেন, এতে পাশাপাশি ঘর হইতে শরিফ, ফয়সল,
শাহিন,সজিব, আমিনা বেগম, ফাহিমা বেগম, তামান্না বেগম, নুরুন নেছা, এসে উপস্থিত হয়ে ঘরে দরজা ভাঙ্গার পরও রুনা বেগম নাপেয়ে বাথরুমের দরজা বন্ধ দেখে, বাথরুমে দরজা ভেঙ্গে রুনা বেগমকে অচেতন অবস্থায় মুখে গায়ে হারপিক দেখেন রুনা বেগমের পিত্রালয়ের কর্তৃপক্ষর সহিত দ্রুত যোগাযোগ করেন |
স্থানীয় সিএনজি ডাইভার মোঃ রুহান কে সংবাদ দিয়ে বাড়িতে এনে রুনা বেগম সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরিক্ষ করতঃ চিকিৎসা শেষে ছাড় পত্র মাধ্যমে বিদায় দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং ছাড় পত্র চিকিৎসা উল্লেখ করেন, দুই সপ্তাহ পর মানসিক বিদ্যাবর্হি বিভাগে যোগাযোগ করার জন্য |
রুনা বেগমের পিত্রালয়ের লোকজন রুনা বেগম কে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান, পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্পত্তি শেষে স্বামীর সংসারের রুনা বেগম কে ফিরে দেওয়া আশ্বাস প্রদান করেন |
৩০ এপ্রিল বাহরাইন প্রবাসী আবুল কালাম এর ছোট ভাই মিফতার হোসেনকে সিলেট সদর উপজেলার পীরের বাজার পাইয়া রুনা বেগম এর ছোট ইমরান৪/৫ লোকের সামনে শ্বাসায় এবং বলে রুনা বেগম এর কিছু হলে প্রাণে হত্যা সহ মামলা/মোকদ্দমার হুকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে |
মিফতার হোসেন তাহার এবং তার পরিবারের লোক জনের নিরাপত্তার স্বার্থে ১ মে সিলেট এসএমপি শাহপরান(রঃ)থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন |
যাহা জিডি ট্র্যাকিং নং EBJGRZ জিডি নংঃ৩০ তারিখ ০১/০৫/২০২৫
সুত্র জানা যায় রুনা বেগম এর খালাতো ভাই সজিব কথা মতে এবং তার হুকুমে প্রবাসী আবুল কালাম এর পরিবারে লোকজনকে ফাসানোর লক্ষে ৩০ এপ্রিল পুলিশ কেইছ সাজাইয়া (এন্টিকরে) নতুন প্রকল্পে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুনা বেগম কে ভর্তি করা হয়||