ঢাকাশুক্রবার , ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি-সংবাদ
  7. খেলা-ধুলা
  8. জাতীয়
  9. জীবনযাত্রা
  10. দুর্ঘটনা
  11. দুর্নীতি
  12. বিনোদন
  13. বিশেষ প্রতিবেদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজনগরে সামান্য টাকার লোভে ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পড়ে ফসলি জমি বিক্রি করছেন মালিকরা

মজনু বিজয় চৌধুরী | মৌলভীবাজার
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫ ১:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের রাজনগরে সর্বত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে আবাদি জমির মাঠি। জমির মালিকরা সামান্য টাকার লোভে ইটভাটা ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পরে ফসলি জমির এ টপ সয়েল বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আবাদযোগ্য জমির উর্ব্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। ভাটার ইট তৈরী, রাস্থা নির্মাণ, বসতভিটা উচু করা সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে এই মাটি ব্যব‎হৃত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিবছর ডিসেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই তিন মাস ইটভাটার ব্যবসায়ীরা দালালের মাধ্যামে রাজনগরের সহজ সরল কৃষক ও জমির মালিকদের টাকার লোভ দেখিয়ে আবাদি জমির মাঠি ক্রয় করেন। জমির মালিকরা এর কুফল বিবেচনা না করে স্বল্প দামে আবাদি জমির এ ‘টপ সয়েল’ বা শীর্ষ মাটি বিক্রি করেন।

এবছর রাজনগরে ভয়াবহ বন্যার কারণে কৃষকরা আমন ধান আবাদ না করতে পারায় অভাবের কারনে ফসলি জমির মাটি বিক্রি অনেকটা বেড়ে গেছে।

এলাকায় অসংখ্য ইটভাটা থাকায় প্রভাবশালী ইটভাটা মালিকের লোকজন অতি কৌশলে জমির মালিকদের লোভ দেখিয়ে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করে। স্থানীয় বাজারে প্রতি হাজার ঘনফুট মাঠির দাম দুরত্ব, অবস্থান ও প্রকার ভেদে ৮’শ থেকে ১২’শ টাকা। আবার দুরত্ব অনুযায়ী পরিবহন খরচের ওপর মাঠির দাম কম-বেশী হয় বলে বেশ কয়েক জন মাটি ব্যবসায়ী জানান।
মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে মাটি কিনে প্রতি হাজার ঘনফুট মাঠিতে ৩শ থেকে ৪শ টাকার লাভে জেলার বিভিন্ন ইটভাটা মালিক এবং রাস্থা নির্মানকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের কাছে বিক্রি করছে। এর মধ্যে ইট পোড়ানোর উপযোগী মাটির মূল্য বেশী। কৃষি ফসলের মাঠের ক্ষতি সাধন সহ কৃষি ক্ষেত্রে এসব অপতৎপরতা প্রতিরোধ করতে কৃষি বিভাগ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার বিধান থাকলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ বরাবরই নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে রাজনগরের সচেতন মহলের অভিযোগ।

এব্যাপারে রাজনগর এম.এইচ.এস ব্রিকসের মালিক সৈয়দ আনকার আলী বলেন, ইট তৈরীতে মাটির প্রযোজন হয়। এ মাটি জমির মালিকরা নিজ উদ্যোগে বিক্রি করেন।

তবে জমির সাময়িক কিছু ক্ষতি হলেও বিভিন্ন ধরণের সার দিলে উর্বরা শক্তি স্বাভাবিক থাকে। এছাড়াও মাটির গাড়িতে রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

রাজনগরের বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিবর্গ জানান, প্রতি বছর টপ সয়েল বিক্রি বা অপসারনের কারনে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এবং পার্শ্ববর্তী আবাদি জমির চরম ক্ষতি হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও গাছপালার ভীত দুর্বল হয়ে পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ রাস্থাঘাট। ধূলাবালিতে সয়লাভ মানুষের বসতবাড়ি। নেতিবাচক এসব কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।

এবিষয়ে রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি আবাদ যোগ্য জমির মাটি বিক্রি অন্যায় এবং তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে না দেখে বিস্তারিত বলা যাবেনা বলে জানান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।