সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোঃ
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ১১নং লাউতা ইউনিয়নের, ৮নং ওয়ার্ড়ের পাড়িয়াবহর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এক নিরীহ পরিবার লোক মনির আলী ও মোঃ আব্দুর রব দ্বয়ের বসতবাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া ও জবরদখল করার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, মহিলালীগ,ছাত্রলীগের ৬দোসরদের বিরুদ্ধে এরা হলে স্থানীয় পাড়িয় বহর গ্রামের মৃত তৈয়বুর রহমান খাঁন এর স্ত্রী ইউনিয়ন মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলেয়া বেগম (৪৫),, ছেলে- উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান খান (২৭),, ছেলে-উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান খাঁন (২৫),, মেয়ে – উপজেলা মহিলা লীগের সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক (২৩),, ছেলে- ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম খাঁন (২১),, ছেলে -ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক হামিদুল ইসলাম খাঁন (১৮),, সুত্রে জানা যায়, ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের ধর্মনগর থেকে বিনিময় সূত্রে মনির আলী ও মোঃ আব্দুর রব গণের পূর্ববর্তী মন্তাজ আলীগণ ১৯৬৩ ইং সালে একখানা বিনিময় চুক্তিনামা প্রথম শ্রেণীর শাসক আদালতে সম্পাদন করতঃ ১৯৬৭ ইং সালে ধর্মনগর সাব রেজিস্টার অফিসে রেজিস্টারি বিনিময় কবালা মুলে তৎকালীন পাকিস্তান শাসন আমলে বিয়ানীবাজার উপজেলার পারিয়া বহর মৌজার বিভিন্ন দাগে ১২.৫৩ একর ভুমির মালিক স্বত্ব বান ও ভোগ দখল কার হন | ১৯৬৮ ইং সালে বিনিময় সূত্রে প্রাপ্ত ভূমি সমুহ বিনিময় কারী গণের মধ্যে পারিবারিক আপোষ ভাগ বন্টন হয়, এতে একজন বিনিময়কারী ফাতিমা বিবি তাহার প্রাপ্ত ভুমি মনির আলী নিকট ১৯৭২ইং সালে রেজিস্টারি কবলা মুলে বিক্রয় করেন | পারিবারিক আপোষ ভাগ বন্টন মতে প্রাপ্ত ভুমি, ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় অপরাপর বিনিময় কারীগন বিক্রয়-দান এবং স্থানীয় পাড়িবহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে, কবরস্থানে ও ঈদগাহে বিনিময় কারীগণ ভুমি দান হস্তান্তর করেন, আয়াতুন নেছার বিয়ের নিকাহ্ নামায় দেনমোহর বাবদ ৪.৩৫ ভুমি মুল বিনিময় মন্তাজ আলী ও আরিজা বিবি হস্তান্তর করেন | কাংলি গ্রামের সাজ্জাদ আলীকে ১০ শতক ভুমি মৌখিক দান করেন, পাড়িয়া বহর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবিব(বাবুল) গংদের নিকট ২৩ শতক ভুমি মৌখিক ভাবে দান করেন , পাড়িয়া বহরগ্রামের সোয়াইবুর রহমান-কে ১৮ শতক মৌখিকভাবে দান করেন এবং আয়াজ আলী, সজ্জাদ আলী, সোয়াইবুর রহমান, সমছ উদ্দিন বরাবরে ২.৭৭একর ভুমি বিক্রয় করেন এতে আয়াজ আলী গণ মোট ২.৯৫ একর ভুমি প্রাপ্ত হন | এবং পরবর্তীতে আয়াজ আলী গণ তাদের খরিদা ভুমি থেকে ১৩ শতক ভুমি পাড়িয়াবহর পাঞ্জেগানা মসজিদে ১৯৮৬ সালে রেজিস্টারি কবলা মুলে দান করেন | বিনিময় সম্পত্তির মধ্যে ৪.৩৫ একর ভুমি অর্থাৎ পাড়িয়া বহর মৌজার ১৫৭৯ নং দাগে ২.৩৬ একর, ১৫৭৫ নং দাগে ০.৩০ একর, ১৫৭১ নং দাগে ০.২৫ একর, ১৫২৭ নং দাগে ০.৩০ একর, ও ১৫৭২ নং দাগে ১.১৪একর ভুমি, ১৯৭১ ইং সালে উল্লেখীত মনির আলীর স্ত্রী ও মোঃ আব্দুর রব এর মাতা আয়াতুন নেছার বিয়ে নিকাহ্ নামায় মুল বিনিময় কারী মন্তাজ আলী ও আরিজা বিবি ৪.৩৫ একর ভুমি সম্পাদন করিয়া দেন, বর্ণিত ৪.৩৫ একর ভুমি আয়াতুন নেছা প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ভোগ দখল করিয়া আসা অবস্থায় তাহার জ্যেষ্ট ছেলে মোঃ আব্দুর রব এর উপর সন্তুষ্ট হয়ে বিগত ০৮/০৮/১৯৯৮ইং তারিখে সর্বজন জ্ঞাতসারে মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান মতে মৌখিক দান করতঃ সরোজমিনে বর্ণিত সমূহ ভুমির ভোগ দখল মোঃ আব্দুর রব কে সামঝাইয়া দেন | সুত্রে আরো জানা যায়, উল্লেখীত মনির আলী ও তাহার মাতা বারিক জান বিবি দ্বয়ের স্হাবর অস্থাবর সম্পত্তি দেখাশুনা সহ মামলা/ মোকদ্দমা পরিচালনা করার জন্য ১৯৯৫ ইং সালে স্হানীয় পাড়িয়া বহর গ্রামের মৃত ছিদেক আলীর পুত্র তৈয়বুর রহমান খাঁনকে রেজিস্টারি কবালা মুলে তাদের পক্ষ থেকে আমমোক্তারতার নিয়োক্ত করেন, অতপর ১৯৯৯ইং সালে বারিক জান বিবি মৃত্যুবরণ করেন | পরবর্তীতে মনির আলী জানেন যে তাদের নিয়োক্ত আমমোক্তার তৈয়বুর রহমান খাঁন, যথাযত ভাবে দায়িত্ব পালন করিতেছেন না, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে জ্ঞাত হয়ে ২০০০(দুই হাজার) সালে তৈয়বুর রহমান খাঁনের নামীয় আমমোক্তার নামা বিধি বিধান মতে রেজিস্টারি কবালা মুলে বাতিল করেন | পরবর্তীতে তৈয়বুর রহমান খাঁন তাহার পিতার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রয় করে প্রবাসে যাওয়ার উদ্যোগ নেন জনৈক দালালের মাধ্যমে, তৈবুর রহমান খাঁন টাকার লেনদেন করার পর পরই বর্ণিত জনৈক দালাল উধাও হয়ে যায়, এতে তৈবুর রহমান খাঁন বিটা-মাটি হারা হয়ে, মোঃ আব্দুর রব এর ১৫৭৯ নং দাগের নির্মাণকৃত বসত বাড়িতে ২০০৮ সালে তৈয়বুর রহমান খাঁন সহ-পরিবার নিয়ে ভাড়াটি হিসাবে থাকার প্রস্তাব দিলে মোঃ আব্দুর রব তাহা প্রত্যাখান করেন | পরবর্তীতে তৈবুর রহমান খাঁন প্রস্তাবটি মনির আলী নিকট পুনরায় করিলে মনির আলী পূর্বের সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে তাহার ছেলে মোঃ আব্দুর রব-কে বুঝাইয়া ০১ জানুয়ারি ২০০৯ইং সালে থেকে ০১ জানুয়ারি ২০১০ইং সাল পর্যন্ত মাসিক ২০০০/= (দুই) হাজার টাকা ভাড়া ধার্য করিয়া তৈয়বুর রহমান খাঁনকে বসত বাড়ির ৮টি রুমে মধ্যে ৪রুম ভাড়াদেন | কিন্তু ২০১০ সালে তৈয়বুর রহমান খাঁন ও তাদের পরিবারে লোকজন বসতবাড়ি ছেড়ে ছলে যাওয়ার কথা থাকলেও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সরকারের দলীয় ক্ষমতার দাপটে জোর পুর্বক থাকেন এবং বাড়ি ছেড়ে চলে না গিয়ে উল্টো মনির আলী ও তার স্ত্রী আমিলা বেগম কে মারপিট করতঃ প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে এমনকি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেয়, তৎসময়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মনির আলী ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে তাদের মালামাল ফেরত দেয়, কিন্তু নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প স্বাক্ষর নেওয়া, স্ট্যাম্প গুলো উদ্ধার করা হয় নাই, তারা লুকিয়ে রাখে , এ বিষয়ে মনির আলী তৎকালীন সময়ে অর্থাৎ ২০১০ ইং সালে বিজ্ঞ আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন, বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ, মামলা দুটি প্রাপ্ত হয়ে, সরেজমিন তদন্ত করতঃ প্রাথমিক সত্যতা পাইয়া, দুটি মামলায় এজাহার হিসাবে গণ্য করতঃ চূড়ান্ত তদন্ত শেষে আসামিদের (তাদের) বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন, বিজ্ঞ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন, আসামিগণ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোক ছিলেন, সরকারের ক্ষমতার দাপটে এপিপি এবং বিচারক কে ম্যানেজ করে সুকৌশল অবলম্বন করিয়া মামলা থেকে অব্যাহতি পান | ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন মনির আলী ও পরিবারের লোক জন | ভিন্ন সুত্রে জানা যায়, তৈয়বুর রহমান খাঁন অনুমান ৭/৮ বছর পুর্বে মৃত্যুবরণ করিয়াছেন | অভিযোগের বিষয়ে আলেয়া বেগম ও মিজানুর রহমান খাঁন গণের সাথে যোগাযোগ করা হলে এবিষয়ে তারা কিছুই বলতে রাজি হন নাই, এ ব্যাপারে মনির আলী ও মোঃ আব্দুর রব বলেন আমাদের জনবল কম বলে দীর্ঘ দিন থেকে তাদের সহিত এবং রফিক আহমদ@ গাজী ও মোঃ নজরুল ইসলাম গংদের সহিত বিভিন্ন ধরনের মামলা মোকদ্দমা চলিয়া আসিতেছে, মোঃ আব্দুর রব বলেন আমাদের বিনিময় ভুমি বাবত মহামান্য হাইকোর্ট দুটি রিট পিটিশন পেন্ডিং আছে ও জজ আদালতে দুটি স্বত্ব মোকদ্দমা পেন্ডিং আছে, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি, আলেয়া বেগম ও মিজানুর রহমান খাঁন গংরা আমাদের বসত বাড়িঘর জবর দখলের হুমকি, এবং আমাদের বসতবাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি সহ নানা ধরণের হুমকি হমকি দিচ্ছে , আমাদের জন্য দোয়া করবেন,এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ আব্দুর রব বলেন অচিরেই এই বিষয় বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করিব | এব্যাপারে এলাকার স্থানীয় পাড়িয়া বহর গ্রামের শ্রী নিখিলেশ ভট্টাচার্য, শ্রী নিত্যানন্দ দাস, জয়নাল আবেদীন, মাছুম উদ্দিন, মাহফুজর রহমান মান্না, সাইফুর রহমান গণ জনান, আলেয়া বেগম. মিজানুর রহমান খাঁন. সাইদুর রহমান খাঁন. সীমা আক্তার. মাইদুল ইসলাম খাঁন. হামিদুল ইসলাম খাঁন আওয়ামী লীগের দোসর,, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও তাদের দাপট এলাকায় কমেনি বর্তমানে তারা মনির আলী ও মোঃ আব্দুর রব এর বসত বাড়িঘর জবরদখল করার হুমকি এমনকি মনির আলী ও মোঃ আব্দুর রব দ্বয়ের বসত বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হুমকি দিচ্ছে, এরা খুবই উশৃঙ্খ লোক আইন-কানুন কিছুই মানে না | এরা পুর্বের ন্যায় মারপিট কিংবা খুন খারাপি কাজ করতে পারে, এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, তাদের (আলেয়া বেগম ও মিজানুর রহমান খাঁন গণের) এলাকায় অনেক আত্মীয়-স্বজন আছে, কিন্তু তারা আত্মীয় স্বজনের কথাও মানে না, এমনকি এলাকাবাসীর কে গণ্য করে না |