নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে পাঁচটি ইটভাটার মালিককে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) লঙ্ঘনের দায়ে মোট ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং কিলন স্কেভেটর দিয়ে ইটভাটাগুলো আংশিক গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয় এবং মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট উইং, পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তর, ঢাকার যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।
অভিযানে সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর ও কামারপুকুর এলাকার পাঁচটি ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এগুলো হলো—
১. মেসার্স এম এ বি ব্রিকস (মালিক: মোঃ এরশাদ আলী, দলুয়া, কামারপুকুর)
2. মেসার্স বি পি এল-২ ব্রিকস (মালিক: সুরেশ সিংহানিয়া, কামারপুকুর)
3. মেসার্স এ এস বি ব্রিকস (মালিক: মোঃ এজাজ আহমেদ, কলাবাগান, কামারপুকুর)
4. মেসার্স এ স্টার বি ব্রিকস (মালিক: মোঃ আহেদুল হক, কামারপুকুর)
5. এ বি এল ব্রিকস (মালিক: মোঃ জাহিদুল ইসলাম)
অভিযানে আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটাগুলো আংশিক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করে নীলফামারী জেলা পুলিশ বিভাগ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৩) এবং নীলফামারী সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবেশের ক্ষতি রোধে এবং বায়ুদূষণ কমাতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।