পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার লেবুখালিতে ওএমএস’র সরকারি চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশায় থাকা ১১ বস্তা চাল আটক করেছে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহীন মাহমুদ উপজেলার লেবুখালী ইউনিভার্সিটি স্কয়ার এলাকায় উপস্থিত হয়ে চাল জব্দ করে এবং ডিলারের গুদাম সিলগালা করে দেন। এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
হতদরিদ্রদের কাছে বিক্রি না করে গোপনে বেশী মূল্যে বিক্রির জন্য গুদাম থেকে স্থানীয় মালেক শিকদারের দোকানের সামনে চাল পাঠিয়ে দেয় ডিলার খলিল শিকদার এবং তার ভাগিনা উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির হাওলাদার।
জানা যায়, দুমকি উপজেলার ২নং লেবুখালী ইউনিয়নে খোলা বাজারে (ওএমএস) হতদরিদ্রদের জন্য জন প্রতি ৫কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রির জন্য নির্ধারিত ডিলার ছিলেন খলিল শিকদার। এসব চাল সরকারী নিয়ম মেনে নির্ধারিত পরিমান ও মুল্যে বিক্রি না করে চড়া দামে বিক্রি করেছেন সংশ্লিষ্ট ডিলার এবং তার ভাগিনা জহির হাওলাদার।
এবিষয়ে ডিলার খলিল শিকদার বলেন জহির খাদ্য বান্ধবের ডিলার ছিলেন, তার ডিলার মেয়াদ শেষ হলে এ গুদামে চাল রেখে তিনি ব্যবসা করেন। জহির থেকে আমি গুদাম ঘরের অর্ধেক ভাড়া নিয়ে ওএমএস’র চাল রাখি। আমার ১ টন চাল এখনো গুদামে আছে। জহির তার মালিকানাধীন চাল বিক্রি করেছে। এ চাল আমার না এবং আমি এর সাথে কোন রকম জড়িত নয়।
এবিষয় দুমকি থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।