মোঃ আব্দুর রব, সিলেট বিভাগীয় ব্যরো প্রধান : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের কলাইয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা প্রবাসী মইন উদ্দিনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন একইপাড়ার পাথর শাহ’র মোকামের খাদেম মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী মতিয়া বেগম।
মইন উদ্দিন সুকৌশলে প্রতারণা করে একই ভূমি এক পরিবারে দুইবার দলিলে মূল্যে বিক্রি করেছেন।
মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী মতিয়া বেগম এখন পর্যন্ত ক্রয়কৃত পরিপূর্ণ ভূমি দখল পাননি।
আমেরিকান প্রবাসী মঈন উদ্দীন বিক্রিত ভূমির দখল দেই দিচ্ছি বলে শুধু সময় ক্ষেপণ করেছেন।
এদিকে একাধিকবার সালিশ বসেও স্থানীয়রা এই ঘটনার সমাধান করতে পারছেন না।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন প্রতারণার শিকার মুজিবুর রহমান তার স্ত্রী।
জানা যায়, ২০০৮ সালে কলাইয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী মইন উদ্দিনের কাছ থেকে ১৮০ নং দলিলে উল্লেখিত মৌজা কলাইয়া, জেএল নং-৭১, ডিপি খতিয়ান-৮৪৯, দাগ নং- সাবেক ২২৪৫, বর্তমান ৩০৩৯, শ্রেণী চারা, পরিমাণ-২৫ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন একইপাড়ার বাসিন্দা মোকামের খাদেম মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী।
মঈন উদ্দীনের রেকর্ডীয় ২৫ শতাংশ ভূমি খাদেম মুজিবুর রহমান ক্রয় করার পর মাঠ জরিপে মুজিবুর রহমানের নামে রেকর্ডভুক্ত হওয়ার পর পরেই মুজিবুর রহমান বিদেশে চলে যান।
আড়াই-তিন বছর পর মুজিবুর রহমান বিদেশে থাকার সুবাদে প্রতারক মঈন উদ্দীন মতিয়া বেগমের স্বামীর ক্রয়কৃত ভূমিই পূনরায় সাব-কবালা রেজিস্ট্রি করে দেন।
মঈন উদ্দীন মতিয়া বেগমের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ ভূমির টাকা নিয়ে মাত্র সাড়ে ১২ শতাংশ ভূমি রেজিষ্ট্রি করে দেন।
প্রতারণার শিকার একইপাড়ার বাসিন্দা মোকামের খাদেম মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা একই গ্রামের এবং একই পাড়ার বাসিন্দা।
কিন্তু বিশ্বাসের মধ্যে প্রবাসী মইন উদ্দিনের কাছ থেকে প্রথমে ২৫ শতাংশ ভূমি দলিল মূল্যে ক্রয় করি। আমি বিদেশে থাকায় আমার স্ত্রী মতিয়া বেগমের কাছে পুনরায় এই ভূমি বিক্রি করা হয়।
আমার স্ত্রীর সরলতার সুযোগে ১৫ শতাংশ ভূমির টাকা নেয় মইন উদ্দিন। কিন্তু দলিলে লিখে দেয় সাড়ে ১২ শতাংশ। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুর রহমান বলেন, আমি পাথর শাহ’র মোকামের খাদেম। একাধারে একই ভূমি দুইবার দলিলে বিক্রি করে প্রতারণা করেছেন মইন উদ্দিন। তিনি এই সমস্যা সমাধান না করে প্রবাসে বসবাস করছেন।