মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের রাজনগরে জোরপূর্বক কুটকৌশলে ঘরবাড়ি দখল করে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী কলছুমা বেগম, মো: মসুদ, জাহাঙ্গির মিয়া ও মাসুদ আহমদ।
শুক্রবার (১৪ই মার্চ) বিকাল ৪টায় জুলিয়া শপিং কমপ্লেক্সের কাওরান হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা বিগত ২০২৩ সালে কটুরাম পাল এবং পন্তি অম্বিকা পালের ছেলে অজয় পাল ও অশোক পালের নিকট থেকে ১০২/২৩ নং দলিল মুলে এসএ খতিয়ান নং ৭০, দাগ নং ২৬০, আর এস খতিয়ান নং ১০৬, দাগ নং ২৫৪, মুলে ৪১ শতক জমি রাজনগর সাব রেজিসষ্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রারী করি। এরপর ক্রয়কৃত জমি নামজারী করে বসত বাড়ি নির্মান করি। বিগত ৯ মাস পুর্ব থেকে সুন্দর মিয়া, লেচু মিয়া, ফারুক মিয়া পিতা মৃত আহছান উল্ল্যা, সাং- ইলাশপুর, সাদিক মিয়া, সাং মল্লিক সরাই এই জমি তাদের বলে দাবী করে। আমরা বসত ঘর তৈরীর করার পর থানায় অভিযোগ দেয় তাদের জমিতে আমরা ঘর বাড়ি নির্মাণ করছি। রাজনগর থানা পুলিশ উভয় পক্ষে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমাদের কাগজ পত্র সঠিক দেখতে পায়। এরপর সুন্দর মিয়া ও টুনু মিয়া ১৪৪ ধারায় মামলা দেয়। এই মামলা আমাদের পক্ষে রায় হয়। এসময় আমাদেরে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ৭ ধারায় মামলা দেয়। এটিও খারিজ হয়ে যায়। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর কিছু পুরুষ ও মহিলা নিয়ে আমাদের তালাবদ্ধ ঘরে প্রবেশ করে। পরে আমরা সেনাবাহিনীর নিকট অভিযোগ করলে সেনাবাহিনী তাদের ঘর থেকে বের করে আমাদের দখল বুঝিয়ে দেন। বিগত ১৯৯৪ সালে মাঠ জরিপে জোয়াদ উল্লার ওয়ারিশান উপরোলেখিত ব্যক্তিরা কৌশলে তাদের নামে ৪০৯/৬৪ নং দলিল মুলে মাঠ পর্চায় রেকর্ড করে। পরবর্তীতে কটু পালের পন্তি বিন্দু পাল সেটেলমেন্ট অফিসে ৩০ ধারায় অভিযোগ করেন। সেটেলমেন্ট অফিসে ৩০ ধারায় শুনানী শেষে এই দলিল সঠিক নয় বলে পুনরায় কটু পালের নামে রেকর্ড বহাল হয়। আর এই এসএ খতিয়ান নং ৭০, দাগ নং ২৬০, আরএস খতিয়ান নং ১০৬, দাগ নং ২৫৪ এর ৪১ শতক বর্তমানে তাদের বলে দাবী করছেন।
কুলছুমা বেগমের স্বামী আনকার মিয়া বলেন, আমি জমির বন্ধক রেখে কৃষি ব্যাংক কুলছুমা বেগমের নামে ৩ লাখ টাকা সিসি ঋন নিয়েছি। জমির মালিকানা ঠিক না থাকলে ব্যাংক কিভাবে ঋন দেয়। বৃহস্পতিবার (১৩ই মার্চ) হঠাৎ করে পুলিশ নিয়ে গিয়ে আমাদের ঘর ভেঙ্গে আমাদের মালপত্র লুটপাট করে নতুন ঘর তৈরী করছেন। ডিপ টিউবওয়েল, মটর, ফ্রিজ, টিভি, পালং, পাকা ঘর সহ আনুমানিক প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।