মোঃ আব্দুর রব: সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
শাইখ সিরাজ এখন চ্যানেল আইতে আছেন কিনা জানিনা।
চব্বিশ জুলাইয়ের গণ অভ্যুত্থানের পর মোজা বাবুদের সাথে জেলে থাকার কথা বুবু অন্ত:প্রান সিরাজেরও।
অথচ তিনি এখনো মুক্ত বাতাসে। এখনো লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন হাসিনাকে আমৃত্যু ক্ষমতায় রাখার শপথ নেয়া আরেক দালাল বসুন্ধরার শাহ আলম।তার পত্রিকায়।
শাইখ সিরাজ একটা নিকৃষ্ট মানের বেঈমান। বিএনপি তাকে ক্যাটাগরির বাইরে গিয়ে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব একুশে পদক দিয়েছিলো।
তখন মি. শাইখ সিরাজ, জিয়া, খালেদা জিয়া বলে মুখে যাবর কাটতেন। সেই তিনি নব্বই দশকে রাতারাতি হয়ে গেলেন হাসিনা মুজিবের সিপাহ শালাহ।
একটা মানুষ কিভাবে রাতারাতি ভোল পাল্টাতে পারে,সিরাজ তার অন্যন্য উদহরন।
তার ভেতরে নূন্যতম কোনো মানবিক গুণাবলিও নেই। আপদমস্তক একজন স্বার্থপর। মনে পড়ে,বেগম খালেদা জিয়া যখন জীবন মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।
হাসিনা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাবেনা বলে পন করে বসে আছে। সিরাজ তিনি গণভবনে শেখ হাসিনাকে হাতে কলমে সব্জির চাষ শেখাচ্ছেন।
আর গণভবনে হাসিনার চাটুকারদের যক মিলন মেলা সবগুলোর মধ্যমনি ছিলেন সিরাজ। বিনিময়ে ২০১৮ সালে বাগিয়ে নেন দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রিয় পুরস্কার স্বাধীনতা পদক।
সে ছিলো চ্যানেল আইনের পরিচালক বার্তা।
আমি জানিনা,সিরাজ এখন আইতে আছে কিনা।
তবে, ছোট পর্দার তৃতীয় শ্রেনীর অভিনেতা সিদ্দিককে নিয়ে তাদের যে মনোবেদনা দেখছি,তাতে খুবই টের পাচ্ছি,ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও সিরাজরা বহাল তবিয়তেই আছে।
না হলে,সিদ্দ্দিককে হেনস্তা এই শীরোনাম কিভাবে হয়,চ্যানেল আইতে।
সিদ্দিক অভিনেতা হিসেবে তৃতীয় কিম্বা চতুর্থ যাইহোক, সে হাসিনা আমলে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সস্পর্কে যে রকম হুংকার,হুশিয়ারি কিম্বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য দেখিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলো,সেটা তো চ্যানেল আই ঠিকই প্রচার করেছিলো।
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি সম্পর্কে সিদ্দিকেন মত একটা স্ট্রিট আর্চিন কি বললো,সেটা ঘটা করে তখন চ্যানেল আই প্রচার করেছিলো,জার্নালিজমের কোন এথিকস মেনে?
আজ যখন,তাকে কেউ উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে দিলো, আর তাতেই চ্যানেল আইয়ের খুব লাগলো বোধ করি।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, জার্নালিজম করা কোনে অপরাধ নয়,সেটা হতে উইথআউট ফেয়ার এন্ড ফেবার।
যারা কিম্বা যে এটা করবেনা।সেই প্রতিষ্ঠান এদেশে থাকবেনা। জানিনা মি. কামাল আহমেদেন নেতৃত্বে গঠিত স্যস্কার কমিশন কি রিপোর্ট দিয়েছে,আর কবে সেটা কবে বাস্তবায়ন হবে।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এদেশে আর হাসিনা স্টাইলের সাংবাদিকতা চলবেনা।
সূত্র: মুজতবা খন্দকার