আনোয়ার হোসেন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বাবা- মা আদর করে ছেলের নাম রাখেন সোনা মিয়া।নামে সোনা হলেও দিন মজুর পিতার অভাবি সংসারে আলোকিত মানুষ হওয়ার প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্রতা। প্রাথমিক লেখাপড়ার গণ্ডি না পেরুতে হাল ধরতে হয় অভাবি পিতার অভাব-অনাটনের সংসারে।কিশোর বয়সে সোনা মিয়া বেছে নেন শ্রমিকের কাজ।প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার (১৭ মে) সোনা মিয়া দিনভর বিভিন্ন এলাকায় ইরি-বোরো ধান মাড়াই শেষে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে নিয়তির খেলায় হেরে গিয়ে ধান মাড়াই যন্ত্রবাহী গাড়ি উল্টে হৃদয়বিদারক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।শনিবার? ১৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুসা বটতলা নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।নিহত কিশোর ওই ইউনিয়নের মুসা হাজি পাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের ছেলে। রোববার (১৮ মে) এলাকাবাসী জানায়,আগের দিন শনিবার সোনা মিয়া শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় ধান মাড়াই শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় মুশা বটতলা নামক স্থানে ধান মাড়াই করা যন্ত্রবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ড্রাইভার রাকিবুলসহ সোনা মিয়া গুরুতর আহত হন।পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ড্রাইভার ও সোনা মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই সোনা মিয়ার মৃত্যু হয়।এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন অকাল মৃত্যুতে পরিবার, প্রতিবেশী এবং এলাকাবাসী সবাই শোকাহত ও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।মা -বাবার কান্নার আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সরোওয়ার্দী গ্রেনেট ( বাবু) মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।